Sunday, September 1, 2019

VAISHNO DEVI TEMPLE ( ROURKELA, Orrisa, India)



15 min walking distance from Rourkela station towards 5th no. platform. the temple located near timber colony at Durgapur hill. you can get a clear view of the temple from the station area. you can buy puja thali at the zero point or starting, where from you climb the steps. there are approx 750 steps for the climb up to temple. visit time 7-12:30 & 3:30-8. you can get an excellent view of Rourkela city & steel plant from here. main temple path goes through between the caves.
There some pictures for your interest.


view of Rourkela city


devi idol in cave


way to cave


inside the cave


For many more Travel Blog & Videos

 Follow my Blog & visit my Youtube Channel


YOUR TRAVEL FRIEND   (SUBSCRIBE )
https://www.youtube.com/c/YOURTRAVELFRIEND



Lachung, yumthang Valley, zero point ,north sikkim ( The haven of SIKKIM, INDIA)






Lachung is a small village of North Sikkim. Gangtok to lachung distance is near about 105 km. Its takes about 6 hours to reach from Gangtok. You have to make a permit by your travel agent or from hotel desk to go north Sikkim. The total package comes with including fooding lodging & car fare (Rs. 1800-2200 per head) as per your accommodation. Cars are provided generally on 8-9 person on sharing basis( bollero or Tata sumo). 
Above rates are not applicable for foreigners.
But the way of the tour is same. 
Chungtham is the nearest town of lachung. From chungtham road is divided, one go to lachen & another go to lachung. Lachung is 22km from chungtham. Lachung situated beside of lachung river(which is the main source of Teesta river) in the altitude of 9600ft. Here over the years weather is cold & freeze. 
Generally peoples are taking 1 night stay in hotels of lachen. 



Day1- Gangtok- lachung (night stay) 
Day2- lachung - yamtham Valley - zero point- back lachung- back gangtok. 

For only lachung tour generally above plan provides by the agent or tour operator.

March to May & august to November is the best time for a visit. 
You have to pay extra to driver Rs. 2500-3000 for zero point visit. 
You also visit katao by extra paying to car driver. 
You can see some waterfalls way to lachung from gangtok. 
Yamtham valley known for the valley of flowers. (april-may). 
(15 Km from lachung) 
At zero point you can play with ice.
(10 km from yamtham Valley) 
Katao is an indo-chaina border. 

Due to high altitude please carry in healer. 
Who have heart or breathing problems don't go after yamtham vally or as per your doctor's advice. 

Thank you. 




For many more Travel Blog & Videos

 Follow my Blog & visit my Youtube Channel


YOUR TRAVEL FRIEND   (SUBSCRIBE )


https://www.youtube.com/c/YOURTRAVELFRIEND

Saturday, August 31, 2019

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটকের পথে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, যাবতীয় তথ্য ( On the way of Gangtok, Sikkim)

গাড়ির ড্রাইভারকে বললাম
সামনের ব্রিজের উপর গাড়ি দাড় করতে ।
সে বলল আপনি না বললেও আমি দাড় করতাম, যারাই এখানে ঘুরতে আসে, তারাই এ জায়গায় দাঁড়ায় সেলফি তোলে, 
ছবি তোলে ।
এই বলে সে গাড়িটা নিয়ে দাড় করালো ব্রিজের ঠিক মাঝে সাইড করে ।


নেমে পড়লাম সেই বিখ্যাত Coronation Bridge এর উপর 1941 সালে উদ্বোধন হওয়া এই সেতু সেই সময় 4 লাখ টাকা দিয়ে তৈরি করা হয় । পায়ের নিচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে খরস্রোতা তিস্তা নদী । এই সেতুটির আরেক নাম সেবক ব্রিজ ।


নদীর দুই ধারে সেবক বাজার, দূরে ছোট ছোট পাহাড়ি ধাঁচের বাড়ি, বা পাহাড়ি বস্তি দেখা যাচ্ছে । চারিদিকের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে উঠে পড়লাম গাড়িতে ।
ড্রাইভার দাদাকে বললাম খিদে পেয়েছে একটা ভালো হোটেল দেখে গাড়ি দাড় করতে ।

গ্যাংটক যাওয়ার পথ সবে শুরু সেই সকালে নেমেছি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে , নেমে গাড়ি ঠিক করেই গ্যাংটোকের উদ্দেশে পা বাড়িয়েছি ।

Njp ( New Jalpaiguri)  to Gangtok full car fare (4 Seat) - Rs. 2600-3000
in share car Rs.400-500
***(rates are increasing on peak seasons)

 Gangtok Bus Timing from Siliguri SNT Bus stand -
6:30am, 7:15am, 8:30am, 9:30am, 10:30am (AC), 11:00am, 12:30pm, 1:00pm, 1:30pm, 2:00pm, 3:00pm.

http://www.sntd.in/PDF/BusSchedule.pdf

স্টেশন থেকে সেবক পৌছেতে প্রায় 2 ঘন্টা লেগে গেছে আমাদের । তাই খিদেটাও বেশ চাগিয়ে উঠেছে ।

হা ঠিকই ধরেছেন সময়টা একটু বেশিই লেগেছে  আমাদের কারণটা আর কিছু না একবার চাকা পাম্পচার আর তেল ভরতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে । তবে পাহাড়ের প্রথম দৃশ্য চোখে পড়তে তা সব ভুলিয়ে দিয়েছে ।



সমতলের মানুষের অনেক দিন পর পাহাড়ের প্রথম দর্শনের অনুভূতি যে কি হতে পারে তা বোঝানোর ভাষা আমার নেই । আর যাদের জীবনের প্রথম দর্শন ,মানে যারা প্রথম পাহাড় দেখছে তাদের কাছে এ এক স্বপ্ন রাজ্য ,নতুন দেশ, নতুন বেশ, নতুন ভাষা, যা তার প্রতিদিনের ক্লান্ত জীবনের স্মৃতি গুলোকে ম্যাজিকের মতো এক নিমেষে ভ্যানিশ করে দিতে পারে ।
গাড়ি এসে দাড়ালো একটা হোটেলের সামনে ড্রাইভারদা বললো এটা ভালো হোটেল এখানে খেয়ে নিন । নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে ।
এই সমস্ত হোটেল গুলির সাথে গাড়ি ড্রাইভারদের  চুক্তি থাকে টুরিস্ট কাস্টমার এনে দিতে পারলে সে একটা টাকার ভাগ বা কমিশন পায় সেই সঙ্গে তার খাওয়া টা ফ্রী হয় ।
তবে এটা ও উপলব্ধি করলাম এই পরিবেশে এই ব্যাবসার উপরে নির্ভর করে এদের জীবিকা চলে, তাই নাই বা হলো একটু কম গুণমানের খাবার দেখাই যাক না । হাসি মুখেই ঢুকলাম হোটেলে ,বেশ গোছানো হোটেল । খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম, খাবার তৈরি হতে 15 - 20 মিনিট সময় লাগবে। হোটেলটা সেবক ব্রিজ থেকে 2 km এর মধ্যেই , সামনে লম্বা গাড়ি যাত্রা তাই তার আগে খাওয়া দাওয়া সেরে নেওয়াটা ভালো ।
New jalpaiguri ------- Gangtok - 114 km
গাড়িতে সময় লাগে 4 - 5 ঘন্টা
আমরা সবে 1 ঘন্টার রাস্তা এসেছি তাই এখনো বাকি 3-4 ঘন্টার রাস্তা ।
ইতি মধ্যে গরম গরম খাবার হাজির ।
মোমো, হাক্কা নুড্ডুল সঙ্গে কফি
জমিয়ে খাওয়া হলো । খাবারের মান সত্যিই খুব ভালো দামও ঠিকঠাক।
খাওয়া সেরে গাড়িতে উঠে বসলাম ঘড়িতে তখন 10:30 am , না আর দেরি করা ঠিক হবে না এখনো অনেক রাস্তা তার উপর পাহাড়ি রাস্তা এক বার কোথায় জাম লাগলে হয়ে গেল , জাম পেরিয়ে যেতে কত সময় যে লাগবে তার কোনো ঠিক নেই ।
তিস্তা নদীকে বামে রেখে গাড়ি ছুটে চলেছে ।


পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে ইতি মধ্যেই বমি বমি ভাব উপলব্ধি করছি তাই ব্যাগ থেকে একটা বমির ওষুধ মুখে ভরে দিলাম ।
ড্রাইভারদা বলে উঠলো ওই দেখুন কালিম্পম যাওয়ার রাস্তা আলাদা হয়ে গেছে ।
সেবক পেরিয়ে রাস্তা আলাদা হয়েছে, একটি যাচ্ছে গ্যাংটোক আর একটি কালিম্পম, আমি আগেও এসেছি এ পথে তাই ব্যাপারটা জানতাম কিন্তু নতুন আগন্তুকের মতোই চেয়ে রইলাম সে পথের দিকে ।
ড্রাইভারদার মুখটা খুশিতে ভরে গেল আমায় নতুন কিছু দেখানোর আনন্দ তে । সে আনন্দ কেড়ে নেয়ারও কোনো রকমের ইচ্ছে আমার ছিল না তাই তার কথা মন দিয়ে শুনতে লাগলাম ।

তিস্তার পাড় বরাবর রাফটিং হয় মানে এই তিস্তা নদীর প্রবল জলের ধারার উপর ভেসে থাকার মজা নেওয়া । অনেক কোম্পানি আছে তিস্তার পাড় বরাবর যারা সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যাক্তির মাধম্যে এই রাফটিং করিয়ে থাকে ।





আমার এ বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ না থাকায় সে পথে পা বাড়ালাম না ।
গাড়ি  এগিয়ে চলেছে, ড্রাইভারদার গাইড সত্ত্বা আরো জেগে উঠেছে । সে পথের পাশে নানা জিনিস দেখাতে থাকলো সেই সঙ্গে নানা গল্প যার কিছু সত্যি কিছু আজগুবি আর কিছু আমি কস্মিন কালেও শুনি নি । আর যাই হোক এই লম্বা গাড়ি যাত্রা বেশ জমে উঠলো আড্ডায় ।
ইতিমধ্যে আমরা পৌঁছে গেছি রংপো তে ।

এই রংপো হলো ওয়েস্টবেঙ্গল ও সিকিম বর্ডার ।





তাই সিকিম পুলিশ গাড়ি চেক করলো , সরকারি পরিচয় পত্র দেখলো । সব কিছু ঠিক দেখে অনুমতি পেলাম সিকিম এ ঢোকার ।
রংপো পর হতেই চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আরো বেড়ে গেলো, প্রকৃতি যেন তার দুই হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন করার প্রতীক্ষায় আছে ।
আনমনা দৃষ্টিতে সে দৃশ্য উপভোগ করছি , পাহাড়ের কোলে নানা গাছের সারি , সবুজ হলুদ রঙের মিশ্রনে এক অপরূপ শোভার সৃষ্টি করেছে ।
দাদা জানেন তো ।
গাড়ির জানালার বাইরে থেকে দৃষ্টি ফেরালাম ড্রাইভারদার দিকে ।
সে চোখের দৃষ্টি অদ্ভুত করে বললো
এ রাস্তায় রাতে ভুত দেখা যায় অনেক গাড়ির ড্রাইভার এই জায়গায় ভুত দেখেছে ।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি কখনো দেখেছো ?
সে বললো এ পথে আমি রাতে গাড়ি নিয়ে কখনো আসি না ।
বুজলাম এ ব্যাটা মনে মনে ভীতু আছে ।
তবে তার এই ভয়ের কারণ আমূলক নয়, কারণ এই পথে ভুত দেখার এই ঘটনা অনেকের সাথে হয়েছে ,আর তা অনেকের ই জানা ।

রাস্তা খুবই ভালো তাই গাড়ি ও পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক খেয়ে বেশ ভালোই ছুটে চলেছে মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাহাড়ি জনপদ , বাজার, পেরিয়ে যাচ্ছে । এইভাবেই ঘন্টা দুয়েকের বেশি রাস্তা কখন যে পেরিয়ে গেলো টের ই পেলাম না ।


হটাৎ অনুভব করলাম কেমন যেন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে ।
মনে পড়লো সমতল থেকে এখন আমরা অনেক উপরে চলে এসেছি তাই গরম বিদায় নিয়েছে ।
হালকা একটা গরম জামা গায়ে চাপিয়ে নিলাম ।

ইতিমধ্যে পাহাড়ে মেঘ বৃষ্টির খেলা শুরু হয়ে গেছে । এখানে বৃষ্টির কোনো নিয়ম নেই ভাসমান মেঘ পাহাড়ের গায়ে যেখানে বাধা পাবে সেখানেই এক পশলা বৃষ্টি হবে, আবার পর মুহুর্তে ই রোদে ভরা আকাশ । তাই গ্যাংটক বা সিকিম ঘুরতে আসলে ছাতা সঙ্গে রাখাটা আবশ্যক ।
ভাসা মেঘের মধ্যে দিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে । সেই মেঘের কুয়াশা দানা বেঁধে আছে সবুজ পাহাড়ের গায়ে । প্রকৃতির কি অদ্ভুত উপহার এ দৃশ্য নিজে চোখে না দেখলে উপলব্ধি করা যায় না ।



ড্রাইভারদা পাশ থেকে বলে উঠলো, দাদা সামনে দেখুন ।
গাড়িটা সবে একটা নতুন বাক নিয়েছে আর তাতেই হাজির হয়েছে এই নতুন দৃশ্য ।

মেঘের কুয়াশায় ঢাকা রাস্তা ভেদ করে দূরে ঝাপসা এক দৃশ্য , পাহাড়ের কোলে রংবে রং এর বাড়ির সমাহার । ধাপে ধাপে নেমে এসেছে, পাহাড়ের উপর থেকে নিচে পর্যন্ত , দুই তিনটে পাহাড় জুড়ে এই দৃশ্য ।



ঘড়ির সময় , রাস্তার মাইলস্টোন , আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আর ড্রাইভারদার প্রাণ ভরা গাইড বুজিয়ে দিলো এই হলো সিকিম এর রাজধানী গ্যাংটক
ধীরে ধীরে সেই দৃশ্য আরো পরিষ্কার হতে লাগলো । আকাশ ও রোদে ভোরে উঠেছে , মেঘের কুয়াশা কেটে গেছে , রাস্তায় লোকজন ও গাড়ির পরিমান ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো ।
রাস্তার ধারে দোকান পাট ,  আশ পাশের পরিবেশ দেখে বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম ।

আগের বারের থেকে এ বারের গ্যাংটোকের কি পার্থক্য হয়েছে । গাড়ি পৌঁছে গেছে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ।ডান দিকে M.G Marg কে রেখে গাড়ি এগিয়ে গেলো ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এর দিকে ।







সিকিমে ট্রাফিক আইন বা নিয়ম খুব  ভালো ভাবে পালন করা হয় ।
সিকিমের মানুষরাই এই আইন পালনে নিজেরাই এক এক জন পুলিশ ।
তাই সিকিম ভ্রমণে আসলে নিয়ম মেনে চলবেন না হলে অনেক টাকা জরিমানা বা জেল পর্যন্ত হতে পারে ।
অবশেষে নির্দিষ্ট গাড়ি পার্কিং এর জায়গা বা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে নেমে পড়লাম ।
ড্রাইভারদা কে গাড়ি ভাড়া মিটিয়ে ব্যাগ গুলো গাড়ি থেকে নামাতে লাগলাম ।
ড্রাইভার দা বললো হোটেল কি বুক করা আছে ?
আমি বললাম না
সে বলল না থাকলে লোকাল ট্যাক্সি ধরুন ওরা আপনাকে ভালো হোটেল এ নিয়ে যাবে ।
বুজলাম সেই কমিশন প্রথা ।
আমি বললাম আমার চেনা জায়গা , আমি নিজেই হোটেল দেখে নেবো ।
ড্রাইভারদা একটু অবাক হলো
সে বলল আমি ভাবলাম আপনি নতুন এসেছেন ।
আমি বললাম, সেটা বললে আপনার কাছ থেকে এতো ভালো ভালো গল্প গুলো শুনতে পেতাম না যে ।
সে কিছুটা লজ্জাতে মুচকি হাসল আর আমার সাথে করমর্দন করলো ।
বেলা 2 টো বাজে ব্যাগ নিয়ে পা বাড়ালাম একটা ভালো হোটেল খোঁজার উদ্দেশে ।
ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে চারিদিকটা ভালো করে দেখতে লাগলাম ।
ইচ্ছে আছে MG Marg এর কাছাকাছি একটা হোটেল নেওয়ার ।


পরবর্তী পর্ব - গ্যাংটক শহরে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ।



For many more Travel Blog & Videos

 Follow my Blog & visit my Youtube Channel


YOUR TRAVEL FRIEND   (SUBSCRIBE )
https://www.youtube.com/c/YOURTRAVELFRIEND

Tuesday, September 18, 2018

তারাপীঠ ভ্রমণ ।। TARAPITH BIRBHUM WESTBENGAL


   
যাত্রা শুরু করেছিলাম সকালবেলায় শিয়ালদা স্টেশন থেকে ৭.২০র মাতারা এক্সপ্রেস এ।প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টার যাত্রা পথে মাঠ,ঘাট,ক্ষেতের জমি পেরিয়ে রামপুরহাট স্টেশন এ যখন ট্রেন ঢুকছে ঘড়িতে তখন প্রায় বেলা সাড়ে বারোটা। স্টেশনে নেমে ব্যাগপত্র নিয়ে অটোতে উঠে এক এক জনের ২৫ টাকা ভাড়া হিসেবে যখন মায়ের মন্দির এর কাছাকাছি এগিয়ে যাচ্ছিলাম  ততক্ষনে পেটের মধ্যে ছুঁচো ডন মারা শুরু করে দিয়েছিল,মাথায় ঘুরছিল কাছাকাছি একটা সস্তার হোটেল পেয়ে গেলে খুব ভালো হয়।
    অটো থেকে নেমে রাস্তার দুদিকে থাকা হটেল এর মধ্যে মন্দিরের কাছাকাছি একটা সস্তার হোটেল ও পেয়ে গেলাম একদিনে আড়াইশো টাকা ভাড়ায়। কৌশিকি অমাবস্যার সময় অবশ্য হটেল গুলির ভাড়া বেড়ে যায়।এছাড়া স্বল্প মূল্যে ভারত সেবাশ্রমে থাকারও ব্যবস্থা আছে।
    রাস্তার উল্টো দিকে খাওয়া-দাওয়া সেরে হোটেলে ঢুকে  খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে বিকেলবেলায় বেরিয়ে পড়েছিলাম আটলার উদ্দেশ্যে।রিক্সা ভাড়া করে এই আটলা পৌঁছাতে প্রায় আধ ঘন্টা সময় লেগে যায়, আপডাউন রিকশা ১২৫ টাকা ভাড়া নিয়েছিল।

    এই আটলা হলো সাধক বামাখ্যাপার আতুড় ঘর।এখানেই নাকি তার জন্ম হয়েছিল।


কথায় আছে সাধক বামাখ্যাপা দ্বারকা নদীর তীরের কাছে  মহাশ্মশানে সাধনা করে একটি শিলাখণ্ডে মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন।আর এই শিলা খণ্ডই নাকি মায়ের আসল মূর্তি।যদিও এই শীলাখণ্ডের উপরে থাকা আবক্ষ মূর্তিটি দিনের বেশিরভাগ সময় পুজো হয়ে থাকে।
 ফেরার পথে মন্দিরে পুজো দেবার সময় ও লাইন সম্পর্কে বড় রাস্তার দুধারে থাকা পুজো সামগ্রীর দোকান গুলোতে জেনে নিয়ে পায়ে হেটে রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে এগিয়ে গেলাম মুন্ডমালিনিতলা ও ভারত সেবাশ্রমের কাছে দুর্গা মন্দির দেখার জন্য।


সব দেখে রাতের খাবার সেরে যখন হোটেল এর উদ্দেশ্যে ফিরছি তখন ঘড়িতে প্রায় রাত ৯টা। খুব ভোর বেলা পুজোর লাইন এ দাড়াবো এমনটা ভেবে ঘড়িতে ভোর ৪টের এলার্ম দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
  পরদিন সকালে যথারীতি চারটের সময় উঠে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দেবার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।


মন্দিরের কাছে এক ডালা র দোকানে পুজোর সমস্ত সামগ্রী কিনে লম্বা লাইন এ প্রায় ২৫০ জনের পিছনে যখন লাইন দিলাম তখন ভোর ৫টা।পুজো শুরু হতেই লাইন এগোতে শুরু করেছিল আর পুজো দিয়ে মন্দির থেকে বেরোতে প্রায় ১০টা বেজে গেল।


ফেরার পথে মন্দিরের উল্টোদিকে থাকা মহাশ্মশান দেখে কচুরি,ছোলার ডাল আর মিষ্টি খেয়ে হোটেল এ ফিরে এবার আবার কলকাতার পথে ফেরার পালা।
   
   বন্ধুরা তারাপীঠ ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ ও ভিডিও নিচে দেওয়া লিংক এ ক্লিক করে আপনার দেখে নিতে পারেন।
https://youtu.be/F-hbgwlFHdc

For many more Travel Blog & Videos

Follow my Blog & visit my Youtube Channel


YOUR TRAVEL FRIEND   (SUBSCRIBE )
https://www.youtube.com/c/YOURTRAVELFRIEND

VAISHNO DEVI TEMPLE ( ROURKELA, Orrisa, India)

15 min walking distance from Rourkela station towards 5th no. platform. the temple located near timber colony at Durgapur hill. you can...